রক্তিম ক্ষীণ আলোকরেখা সুড়ঙ্গের শেষে
এপারে রক্ত,লাশ; পঁচা মাংসের গন্ধ।
কুকুরের চিৎকারে সচকিত হই; বিশ্বাস স্তব্ধ
চৈতন্যের আগে থেকে। বিভৎস এক দ্বন্দ্বে রত
সত্বা আর কায়; কে আছে জেগে ত্রিদ্বারে!
শ্বাস চলে; ধীম গতিতে নাড়ীও। বাঁচা যদি এই
আজও বন্দি তবে ক্লান্ত দেহে। মহাযাত্রার
বৃথা চেষ্টার স্বাক্ষী। পরাজিত প্রায় এক সত্ত্বা।
আলোর পথিক আজ আলোতেই প্রলুব্ধ। কী
ভিষণ চাপল্য! ভেসে আসে ছেড়ে আসা টান,
“ফিরে আসবি তো!” গম্ভীর জেদ নিষ্কণ্টক
সে পথের কঠোর কারারক্ষী। দম্ভের রুদ্ধশ্বাসে
যুদ্ধে শ্রান্ত কায়া ধরাশায়ী। আবার সে পথ চায়।
ফেরার ইচ্ছে পুরনো ভিটেয় নয়, বইয়ের পাতায়।
হয়তবা স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকা। শুন্য হাতে ফের
উন্মাদ সংঘাতে- আরো একবার মৃত্যুর সাথে।।